উত্তাল ডলারের বাজার।আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে খরচ করতে হয়েছে ৯৬ টাকা
লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে ডলারের দাম। কোন ভাবেই ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।কাল ডলারের দাম ছিল ৯৫ টাকা এবং আজ ১ টাকা বেশি দামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ৯৬ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে এক ডলারের বিপরীতে।
যা গত বছর আগস্ট মাসেও ছিল ১ ডলার রেট ৮৫ টাকা।
আজ (মঙ্গলবার) ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে খরচ করতে হয়েছে ৯৬ টাকা ১ ডলারের বিপরীতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এ দরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী এটিই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
দেশে জ্বালানি তেল ও ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে সার্বিকভাবে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের ওপর চাপ পড়েছে। আবার রপ্তানি বাড়লেও তা আমদানির মতো নয়। প্রবাসী আয়ও বাড়েনি, বরং তা কমেছে। ফলে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রাটির দাম।
এদিকে ডলারের সংকট নিরসনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করেছে। ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় দাম নির্ধারণ হয়। যদিও সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর)খোলাবাজারে বা কার্ব মার্কেটে নগদ ডলার বেচাকেনা হচ্ছে ১১৩ থেকে ১১৪ টাকায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন,আজ (মঙ্গলবার) ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন দামে ৬৫ মিলিয়ন ডলার (৬ কোটি ৫০ লাখ) বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে।
এখন থেকে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকরা ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠালে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা দরে কিনতে পারবে ব্যাংকগুলো।
গত বছরের আগস্ট থেকে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে দুর্বল হচ্ছে টাকা। তার আগে এক বছরেরও বেশি সময় ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় ছিল ডলারের দর।এর আগে মে মাসে খোলাবাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছিল।চাহিদা বাড়ায় বাজারে ডলারের সংকট দেখা দেয়।