বৃহস্পতিবার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | ৮ই চৈত্র, ১৪২৯
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খুলনা বিভাগ
  4. খেলাধুলা
  5. চট্টগ্রাম বিভাগ
  6. জাতীয়
  7. ঢাকা বিভাগ
  8. প্রচ্ছদ
  9. ফিচার
  10. বরিশাল বিভাগ
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. ময়মনসিংহ বিভাগ
  14. রংপুর বিভাগ
  15. রাজনীতি

৯৯৯-এ ফোন পেয়েই চোরাই স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ উদ্ধার

প্রতিবেদক
BanglarKotha-বাংলারকথা
ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ ৫:২১ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক :
৯৯৯-এ ফোন পেয়ে লালবাগ বিভাগের পুলিশের তৎপরতায় রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাসা থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ উদ্ধারসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের নাম মো. আসাদ। গ্রেফতারের পর তার হেফাজত থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, বুধবার সকালে আজিমপুর নতুন স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসা থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে লালবাগ থানা পুলিশের কাছে একটি চুরির সংবাদ আসে। প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী ফ্ল্যাটের সকল বাসিন্দা দুপুর ২.৩০ মিনিট হতে সন্ধ্যা ৭.০০টা পর্যন্ত কেনাকাটার উদ্দেশে বাসার বাইরে ছিল। এ সুযোগে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা গৃহে প্রবেশ করে স্টিলের আলমারির তালা ভেঙে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়। ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা সন্ধ্যা ৭.০০ টার দিকে বাসায় ফিরে এসে জানতে পারে তাদের বাসায় চুরি হয়েছে।

লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লালবাগ বিভাগের বিভিন্ন পুলিশ টিম। চুরির ঘটনা সংঘটিত হওয়া প্রতিটি রুম হলুদ রঙের ক্রাইমসিন টেপ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। চুরির বিষয়ে বাসার দারোয়ান ও আশেপাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যে ফ্ল্যাটে চুরি হয়েছে সেই ফ্লোরের প্রতিটি সিসি ক্যামেরা বিপরীত দিকে ঘোরানো ছিলো। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে। সিসিটিভি পর্যালোচনায় মো. আসাদকে সিসি ক্যামেরা ঘোরানোর সময়ে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সে এই কাজটি করতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করে। আসাদ দীর্ঘদিন যাবত উক্ত বাসার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতো। সন্দেহ হওয়ায় আসাদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসাদ গত এক মাস ধরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন সুবিধাজনক সময়ে উক্ত ফ্লোরের একাধিক ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ইচ্ছাকৃতভাবে ঘুরিয়ে রাখতো যাতে চুরির জন্য গৃহে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় কোন ফুটেজ না পাওয়া যায়। আরো জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসাদ সব ঘটনা স্বীকার করে। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত রাত ১টা ২০ মিনিটে ভবনের পাশে বস্তার নিচে লুকিয়ে রাখা একটি তালাবদ্ধ ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগকারীর পরিবারের সামনে ব্যাগ খোলার পরে চুরি যাওয়া ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

সূত্র : ডিএমপি নিউজ।

সর্বশেষ - প্রচ্ছদ