নিজস্ব প্রতিবেদক ০
১৫ বছর আগে কাঁকনহাট পৌর এলাকায় নৌকার পোস্টার টাঙ্গানোর মতো তেমন কেউ ছিলো না বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমান মেয়র আব্দুল মজিদ মাস্টার ২০০৫ সালে বিএনপির মেয়র থাকাকালীন সময়ে বিএনপি ছেড়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। সেই থেকে তিনি আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলোকে সুসংগঠিত করেছেন। এখন কাঁকনহাটে আওয়ামী লীগের গণজোয়ার বইছে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে কাঁকনহাট পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মজিদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারকালে তানোর-গোদাগাড়ী আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং তাঁর সম্মান রক্ষার্থে মেয়র মজিদ তাঁর বৈধ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। নৌকার বিজয়ের স্বার্থে কাজ করার জন্য এবারের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এ.কে.এম আতাউর রহমান খানকে তিনি সমর্থন দিয়েছেন। এই আত্মত্যাগ এবং মহানুভবতার জন্য মেয়র মজিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, সামনে হয়তো আরো ভাল কিছু তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে।
মেয়র আব্দুল মজিদ বলেন, তিনি আজ থেকে ১৫ বছর আগে ২০০৫ সালে তানোর-গোদাগাড়ী আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন। সেই থেকে দলের স্বার্থে এবং সংসদ সদস্যের সম্মান রক্ষার্থে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, কাঁকনহাট পৌরসভাকে দ্রুত সময়ে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভায় রূপান্তরিত করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজিয়েছেন। তাঁর সাথে কারো অর্ন্তদ্বন্দ্ব নেই।
মেয়র আব্দুল মজিদ বলেন, তিনি সবাইকে নিয়ে পৌরসভার উন্নয়ন করছেন। কিন্তু তাঁকে প্রধানমন্ত্রী কেন মনোনয়ন দেননি, তা আজও তিনি জানেন না। তবে এনিয়ে কারো প্রতি তার কোনো ক্ষোভ নেই এবং এজন্য তিনি অসন্তষ্টও নন। প্রধানমন্ত্রী যা ভালো মনে করেছেন, তাই করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান ও সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সাথে পরামর্শ করে তিনি তাঁর মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন বলে জানান। মেয়র বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। কর্মী হয়েই বাকি জীবন থাকতে চাই। সেইসাথে উপস্থিত পৌর নেতৃবৃন্দকে নৌকার পক্ষে কাজ করার পরামর্শ দেন এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমানের সাথে হাত মিলিয়ে একাত্মতা ঘোষনা করেন। এরপর রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলামের হাতে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন তুলে দেন।
এসময় গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, নৌকার মনোনীত প্রার্থী এ.কে.এম আতাউর রহমান খান, কাঁকনহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন মাস্টার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শওকত, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আখতার, কাঁকনহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুর রহমান বকুল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সারওয়ার মুর্শেদ রুবেল, পৌর কৃষকলীগ সভাপতি কল্লোল হোসেন, পৌর আওয়ামী মহিলালীগ সভাপতি আশরাফুন নেসা পরি ও সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা বেগমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলার কথা/ডিসেম্বর ২৯, ২০২০