রবিবার , ৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১১ই চৈত্র, ১৪২৯
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খুলনা বিভাগ
  4. খেলাধুলা
  5. চট্টগ্রাম বিভাগ
  6. জাতীয়
  7. ঢাকা বিভাগ
  8. প্রচ্ছদ
  9. ফিচার
  10. বরিশাল বিভাগ
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. ময়মনসিংহ বিভাগ
  14. রংপুর বিভাগ
  15. রাজনীতি

শীতার্তদের পাশে কেউ নেই, এমপিরা রাজধানীতে

প্রতিবেদক
BanglarKotha-বাংলারকথা
জানুয়ারি ৮, ২০২৩ ৫:২৪ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক :
নিম্নচাপে হোঁচট খেয়েছিল হিমেল উত্তরে হাওয়া। শীতের আমেজ না পেয়ে বড়দিন আর বর্ষ শেষে আক্ষেপ করেছিলেন অনেকেই। উৎসবের মেজাজ কাটিয়ে যখন কাজমুখো হচ্ছিলেন উত্তর জনপদের মানুষ, তখনই ঠাণ্ডায় জবুথবু রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁওসহ আট জেলার মানুষ। সন্ধ্যার পরে ঠাকুরগাঁও শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বেলে চলছে হাত-পা ছ্যাঁকা। রাত একটু গড়াতেই রাস্তাঘাট সুনসান।

এ অবস্থায় গরিব-অসহায়দের পাশে ছিলেন না কোনো নেতা ও জনপ্রতিনিধি। আর জেলার এমপিরা ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

এ শহরের শান্তিনগর মহল্লার প্রফুল্ল কুমার রায় বলেন, গত কয়েক দুপুর সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকালে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ার কারণে বাইরে লোক সমাগম কম। টানা শৈত্যপ্রবাহের ফলে নিম্মআয়ের মানুষ শীতকষ্টে ভুগছেন।

সদর উপজেলার গড়েয়া গ্রামের মো. সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, শীতে মানুষ ঠক ঠক করে কাঁপছে। নেতা বলেন আর চেয়ারম্যান মেম্বার বলেন- কারও দেখা মেলেনি এই শীতে।

তবে গড়েয়া ইউপির ওয়ার্ড সদস্য গোলাম রব্বানী শাহ জানান, তার উপস্থিতিতে কিছুদিন আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন তার নির্বাচনী এলাকায় কয়েকশ কম্বল বিতরণ করেছেন। এছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি অসহায় দরিদ্রদের পাশে।

পাশের গ্রামের রফিক আক্ষেপের সুরে বলেন, ফেসবুক পার্টিদের এবার দেখা যায়নি। এনজিওরা এবার নীরব। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, দলের নয়, আমার পক্ষ থেকে ৩০০ কম্বল বিতরণ করেছি।

অপরদিকে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদ জানান, স্থানীয় তহবিল থেকে তিন থেকে সাড়ে তিনশ কম্বল বিএনপির পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদ এ পর্যন্ত একটিও কম্বল বিতরণ করেনি।

জেলা পরিষদের সদস্য সমীর দত্ত জানান, পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশী ভারত থেকে এলে কম্বল বিতরণ করা হবে।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ফিরোজ্জামান বলেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে কম্বল প্রদান করেন। আওয়ামী লীগ-বিএনপি এই দুই বড় দল ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দলের কম্বল শীতবস্ত্র প্রদানের খবর পাওয়া যায়নি।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম স্বপন জানান, তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় আমার এখন শীতবস্ত্র বিতরণ করিনি।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী শামীম হোসেন বলেন, এমপি মহোদয় অসুস্থ। তার বড় ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজন দিতে পারে।

অপরদিকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সদ্য পদত্যাগকারী বিএনপির সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমানও এবার শীতবস্ত্র বিতরণ করেনি বলে জানান তার দলীয় নেতাকর্মীরা।

এ জেলায় যেসব এনজিও কাজ করছে তারা শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, কিছু কিছু এনজিও তার দপ্তরে কম্বল জমা করেছেন।

তিনি বলেন, জেলায় সরকারিভাবে ২৮ হাজার কম্বল বরাদ্দ মিলেছে। তা বিতরণ করা হচ্ছে। আরও ৩০ হাজার কম্বল ও শীতবস্ত্র কেনার জন্য চাহিদা ২০ লাখ টাকা চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বিজিবি রাণীশংকৈল উপজেলায় ৩শ শীর্তাত দুস্থ অসহায়দের মাঝে কম্বল প্রদান করে।

সর্বশেষ - প্রচ্ছদ