মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট o
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের কুলাঘাট-ফুলবাড়ী সড়কে চরকুলাঘাট এলাকায় রত্নাই নদীর ওপর থাকা স্টিল ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার। ব্রীজের স্টিলের পাটাতনের কয়েকটি জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বছরের পর বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। অথচ তা মেরামতের কোনো উদ্যোগই নেই।
রত্নাই নদীর উপর স্টিল ব্রীজ নির্মাণ করা হয় অনেক দিন আগে। নির্মাণের পর কয়েকবার সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের কিছুদিন যেতে না যেতেই ব্রীজে গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন গর্ত মেরামত করা হয়। এরপর আরও কয়েকবার গর্ত মেরামত করা হয়েছে।
প্রায় দুই বছর আগে ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ জনগণের জন্য খুলে দেয়া হয়। এতে করে লালমনিরহাট-ফুলবাড়ী-নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ ও যানবাহনের যাতায়াত বেড়ে যায়। ফলে পুনরায় গর্ত সৃষ্টি হলেও এখন তা মেরামত করতে কেউই এগিয়ে আসছে না। অথচ প্রতিদিন এই ব্রীজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হালকা ও ভারী সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করছে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, দেড় হাজার মিটার বা ততোধিক দৈর্ঘ্যের ব্রীজের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের। এর চেয়ে কম দৈর্ঘ্যের ব্রীজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগের। আর গ্রাম এলাকার রাস্তা তৈরি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামতের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। এসব কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও সেতুগুলোর ওপর তদারকি ও নজরদারি জোরদার করার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। তাদের প্রত্যাশা, স্টিল ব্রীজসহ দেশের সব ঝুঁকিপূর্ণ সেতু মানুষের দুর্ভোগ লাগবে সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
স্টিল ব্রীজে “সাবধান ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ৫ টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষেধ। আদেশক্রমে- নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ, লালমনিরহাট’ লেখা সাইনবোর্ড ঝুলে দিয়ে দায় এড়িয়েছে সড়ক বিভাগ।
বাংলার কথা/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০

