বাংলার কথা ডেস্ক ০
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত এক রোহিঙ্গা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন সেনাকে বিচারের জন্য সামরিক আদালত (কোর্ট মার্শাল) গঠন করল মায়ানমার সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই সামরিক আদালতে ওই তিন অভিযুক্ত সেনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মায়ানমার সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জাও মিন তুন। দি ইরাবাদ্দি।
দীর্ঘদিন ধরেই মায়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের উপরে অকথ্য নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মায়ানমারের সেনাবাহিনীর অবর্ণনীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক আদালতে মামলাও ঠুকেছে গাম্বিয়া সরকার। আন্তর্জাতিক আদালতও অন্তর্বর্তী আদেশে, রোহিঙ্গাদের উপরে নির্যাতন বন্ধের জন্য মায়ানমারের সামরিক সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। যদিও বরাবরই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে মায়ানমার সেনাবাহিনী।
থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘দি ইরাবাদ্দি’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৯ জুন রাখাইনের রাথেদাউং টাউনশিপের উগা গ্রামে আরাকান আর্মির খোঁজে আচমকাই তল্লাশিতে আসে মায়ানমার সেনা। গ্রেপ্তারের ভয়ে গ্রামের পুরুষরা পালিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদের নামে ৩৭ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা নারীকে ডেকে নিয়ে যান সেনা সদস্যরা। তার পরে পালা করে তিন সেনা সদস্য ওই নির্যাতিতা মহিলাকে ধর্ষণ করেন। প্রথমে প্রাণভয়ে মুখ বন্ধ করে থাকলেও গত ১০ জুলাই নির্যাতিতা মহিলা সিটওয়ে পুলিশের কাছে তিন সেনার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত তিন সেনা আধিকারিকের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই তিন অভিযুক্ত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রথমে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তারা। শেষ পর্যন্ত একজন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তার পরেই কোর্ট মার্শাল গঠন করে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
বাংলার কথা/ অ.পা/ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০

