তানোর, প্রতিনিধি o
তানোরে রাস্তা সংস্কারের পিচ ও পাথর পোড়াতে জ্বালানী হিসেবে স্যান্ডেল পোড়ানো হচ্ছে। ফলে, গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অপর দিকে সংস্কার করা রাস্তা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে গ্রামের মধ্যে স্কুল মাঠে স্যান্ডেল পোড়ানোর ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তজনা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট কর্ত্পক্ষ ও গ্রামবাসী প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন এলাকার ইলামদহি হাটে পশ্চিমের মোড় থেকে বানিয়াল হয়ে কৈয়লহাট পুর্বপাড়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা এলাকার তারেক ট্রেডার্সের মালিক তারেক হাসান সংস্কার কাজটি পেলেও তিনি ১৫% টাকা কমিশন নিয়ে একই এলাকার রাশেল নামের এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ঠিকাদার রাশেল অজ্ঞাত কারণে ফাঁকা পড়ে থাকা ইলামদহি হাট ফুটবল মাঠ ও বানিয়াল গ্রামে ফাঁকা পড়ে থাকা ফুটবল মাঠে সংস্কার কাজের পিচ ও পাথর না পুড়িয়ে তিনি রাস্তা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জালানি হিসেবে পুরাতন স্যান্ডেল পুড়িয়ে পাথর ও পিচ ট্রলিতে করে নিয়ে রাস্তা সংস্কার করছেন। ৭ কিলোমিটার দুর থেকে পিচ ও পাথর পুড়িয়ে নেয়ার পথেই মেরামত উপাদানের টেম্পাচার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে রাস্তা সংস্কারে গুনগত মান নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি ও যুবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চুলার কালো ধোঁয়া ও বর্জ্য স্যান্ডেলের দুর্গন্ধে গ্রামে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা বলেন, ঠিকাদারসহ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনার কারণে গ্রামের মানুষ কষ্টে পড়েছেন।
বানিয়াল ও কৈয়ল গ্রামের লোকজন বলেন, রাস্তা পিচ দিয়ে ঢালায়ের আগে তৈরি করা বেডে বালি নিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
এনিয়ে ঠিকাদার রাশেল বলেন, এইসব রাস্তায় পাথরের ট্রাক না ঢোকায় বিনোদপুর স্কুল মাঠে চুলা ও ম্যাশিন রেখে পাথর ও পিচ পুড়িয়ে ট্রলিতে করে আনতে হচ্ছে।
বর্জ্য সেন্ডেল পুড়ানোর বিষয়ে বলেন,‘ স্যান্ডেল ছাড়া কি পুড়াবো কাঠ বা খড়ি পুড়ানো নিষেধ। তাই স্যান্ডেল পুড়াচ্ছি।’
স্যান্ডেল পুড়ানোর কারণে পরিবেশের ক্ষতি হওয়াসহ গ্রামবাসীও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার কিছুই করার নেই জানিয়ে এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য তানোর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী উধর্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। #
বাংলার কথা/সাইদ সাজু/ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

