মঙ্গলবার , ১ নভেম্বর ২০২২ | ৮ই চৈত্র, ১৪২৯
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খুলনা বিভাগ
  4. খেলাধুলা
  5. চট্টগ্রাম বিভাগ
  6. জাতীয়
  7. ঢাকা বিভাগ
  8. প্রচ্ছদ
  9. ফিচার
  10. বরিশাল বিভাগ
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. ময়মনসিংহ বিভাগ
  14. রংপুর বিভাগ
  15. রাজনীতি

রাশিয়ার কাছ থেকে তিন লাখ টন গম আমদানি করছে পাকিস্তান

প্রতিবেদক
BanglarKotha-বাংলারকথা
নভেম্বর ১, ২০২২ ৪:৪০ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক :
দেশে ঘাটতি পূরণে রাশিয়ার কাছ থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানির এক চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকটের মুখোমুখি পাকিস্তান সোমবার ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রাশিয়ার গম আমদানির এই চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে ভারসাম্য ফেরানো এবং চলতি গ্রীষ্মের ধ্বংসাত্মক বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে রীতিমতো লড়াই করছে পাকিস্তান। সাম্প্রতিক বন্যায় দেশটিতে এক হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই বন্যায় দেশটির ৩ কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি প্রোডিনতোর্গ পাকিস্তানে গম সরবরাহ করবে। এর আগে, সর্বশেষ গত জুলাইয়ে ১০ লাখ টন পণ্যসামগ্রী আমদানির এক চুক্তির আওতায় রাশিয়ার কাছ থেকে গম আমদানি করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি সংক্রান্ত সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান বলেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েনি প্রোডিনতোর্গ। বিশ্বের বৃহত্তম গম সরবরাহকারী দেশগুলোর অন্যতম রাশিয়া এবং ইউক্রেন। চলতি বছরে পাকিস্তান অভ্যন্তরীণভাবে ২ কোটি ৭০ লাখ টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু পানি স্বল্পতা এবং আবাদি জমির নানা সমস্যার কারণে চলতি বছরে দেশটিতে গমের উৎপাদন ১৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিপর্যয় সৃষ্টি এবং সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশের বিশাল এলাকার কৃষিজমি ধ্বংস হয়েছে। কৃষি বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক প্রতিবেদনে কিছু দিন আগের ওই বন্যার কারণে পাকিস্তানের গম উৎপাদন ৮০ লাখ টন কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বৈশ্বিক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের তহবিল পাওয়ার পরও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে নাজুক রয়েছে। গত অক্টোবরে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী অর্থবছরে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে প্রায় ২৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা আর বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমান্বয়ে আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে। রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় পাকিস্তানের ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঝুঁকি রয়েছে। ইউক্রেনে রুশ সৈন্য মোতায়েনের দিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করতে মস্কোতে যান পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার তুমুল উত্তেজনার সময় ওই সফর ঘিরে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হলেও ইমরান খান তার সফরের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, দেশে গমের ঘাটতি তৈরি হওয়ায় এই খাদ্যশস্য আমদানি করতে চেয়েছিলেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে ইমরান খানের উত্তরসূরি ও পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে পুতিনের সাথে দেখা করেন। সেই সময় রাশিয়া সফরের আমন্ত্রণ পান শেহবাজ শরিফ। অন্যদিকে, পাকিস্তানে খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি এবং বাণিজ্যের মতো বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

সূত্র: আলজাজিরা

সর্বশেষ - প্রচ্ছদ