নিজস্ব প্রতিবেদক ০
রাজশাহীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মহানগরীর সোনাদীঘি মোড়ের সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত জায়গায় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু। প্রতীকি এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে অসংখ্য মানুষের। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কুমারপাড়াস্থ কার্যালয়ের সামনে থেকে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মী বিজয় র্যালি নিয়ে সার্বে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত ভবন এলাকায় সমবেত হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর প্রতীকি এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে অসংখ্য মানুষের। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ দল রাজশাহীর সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শামসুল আলম বীর প্রতীক, রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, প্রবীণ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সরিফুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাঈমুল হুদা রানা, মহানগর জাসদেও সভাপতি সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সার্ভে ইনস্টিটিউটের জায়গাটি রাজশাহী জেলা পরিষদের। সার্ভে ইনস্টিটিউটটি অন্যত্র স্থানান্তরের পর পরিত্যক্ত ভবন নিয়ে জায়গাটি পড়ে আছে। সেখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্পে সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু জেলা পরিষদ এই জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণে আগ্রহী ছিল না। সেখানে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন। মাঠে নামেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এবং সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাও। তারা বিজয় দিবসেই সেখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা দেন। এমন পরিস্থিতিতে ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জেলা পরিষদ একটি বিশেষ সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়- সেখানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারই হবে, তবে সেটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে এবং ব্যবস্থাপনায় নির্মিত হবে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। কিন্তু তার আগেই বিভিন্ন সংগঠনকে সাথে নিয়ে ১৪ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বুধবার সার্ভে ইনস্টিটিউটের প্যরিত্যক্ত জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়।
বাংলার কথা/ডিসেম্বর ১৬, ২০২০