নিজস্ব প্রতিনিধি :
রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। শীতে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জীবনযাত্রা। তবে সবচেয়ে বেশি জবুথবু হচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এরই মধ্যে রাজশাহীজুড়ে শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। তবে চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবার (৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টা ৪৯ মিনিটে রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে। তবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরআগে গত ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিনের মতো আজও ঘন কুয়াশায় মুড়ে আছে রাজশাহী।
রাজশাহী পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা হোসরাব হোসেন। শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না। গরম কাপড়ও নেই। বাধ্য হয়ে কিছু খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘গত সাত দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরে। তাই কাজে যাওয়া যাচ্ছে না। শীতে কাজও করতে পারছি না। আমাদের তেমন গরম কাপড়ও নেই। তাই কিছু ডালপালা জ্বালিয়ে আগুন তেপে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।’
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, মূলত ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণেই রাজশাহীতে তীব্র শীতে অনুভূত হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীর ওপর দিয়ে কোনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না। কুয়াশা কেটে গেলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। তখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও এক অংকে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে।