বাংলার কথা ডেস্ক ০
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি, ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ আরও কয়েকটি ছোট দলের কিছু নেতা বেশ কয়েকবার গোপন বৈঠক করেছেন। এর মধ্যে ব্যাংকক ও নেপালে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কোনো মহলের সবুজ সংকেত পেয়ে তারা তৃতীয় বৃহত্তর শক্তির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চান। আলোচনা আছে, কয়েকটি প্রভাবশালী দেশও তাদের সহযোগিতা করছে।
বিএনপির হাইকমান্ডের অভিযোগ, বিশেষ একটি গোষ্ঠীর পক্ষ হয়ে ‘সরকার পতনের’ পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ‘মাইনাস’ করে বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দলেরই একটি অংশ। সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যানারে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ নানা স্থানে মানববন্ধনসহ বেশ কিছু কর্মসূচিতেও এসব নেতাকে দেখা যায়। তারাই বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
সূত্রমতে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য, কয়েকজন ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, একাধিক যুগ্ম-মহাসচিব, বিভিন্ন সম্পাদকীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতা, সাবেক বেশ কিছু ছাত্রনেতা, একাধিক তরুণ নেতা, কয়েকজন মহিলা নেত্রী, মুক্তিযোদ্ধা দল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি সম্প্রতি বিএনপির হাইকমান্ড অবগত হন।
সর্বশেষ সোমবার পেশাজীবী সমাবেশে দলের নেতাদের পক্ষ থেকে না যাওয়ার জন্যও বলা হয়। এ কারণে দু-একজন বাদে প্রায় সব নেতাই পল্টনে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। জোট ও ফ্রন্টের বেশ কয়েকজন নেতা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকলেও আশপাশের এলাকা থেকে ওই কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন। একপর্যায়ে যখন বুঝতে পারেন, বড় কোনো কিছু হচ্ছে না, তখন যে যার মতো চলে যান। তবে কাউকে বহিষ্কার করা হলে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে এমন শঙ্কায় বিএনপির হাইকমান্ড তাদের শোকজেই সীমাবদ্ধ রাখছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে হঠাৎ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির আগের রাতে ঐক্যফ্রন্ট শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার রাজধানীর গুলশানের বাড়ি ঘেরাও করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় মান্না বাড়িতেই ছিলেন। একাধিকবার বাড়ির ফটকে গেলেও নিরাপত্তাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চলে যায় পুলিশ।
এদিকে বিএনপির তরুণ নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের গোপীবাগের বাসভবনে হামলা চালানোর ঘটনাকেও রহস্যজনকভাবে দেখছেন অনেকেই।
সার্বিক বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন চাই। অন্য কোনো পথে এটা সম্ভব নয়। কয়েকজন লোক জড়ো করে বসে পড়লেই সরকার পতন হয়ে যায় না।’
এদিকে বিএনপির একটি সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বৈঠক করেছেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। এ সময় তারা চলমান সব পরিস্থিতি নিয়েই কথা বলেন বলে জানা গেছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলার কথা/ডিসেম্বর ১৮, ২০২০