নিজস্ব প্রতিনিধি, মোহনপুর o
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে জান্নাতুন ফেরদৌস রিমা (১৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে গৃহবধূর শ্বাশুড়ি রেনুকা বেগম (৪৫), ননদ শাকিলা ওরুনা(২৬)। উপজেলার মৌগাছি পশ্চিমপাড়া গ্রাম থেকে গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যৌতুকের দাবিতে রিমাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে রিমার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদসহ পাঁচজনকে আসামি করে মোহনপুর থানায় হত্যার মামলা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে আবির রায়হান (২৪) সঙ্গে এক বছর আগে পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে রিমার বিয়ে হয় । বিয়ের কিছু দিন পর থেকে বাবার বাড়ি থকে ৩ লাখ যৌতুকের জন্য রিমাকে চাপ দিতে থাকে স্বামী আবির রায়হান । মেয়ের সুখের জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানান গৃহবধূ রিয়ার বাবা।
গৃহবধূর বাবা বলেন, বাকি দেড় লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় ‘আমার মেয়ে রিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি রিমার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও ননদসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যার মামলা দায়ের করেছি।’
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুই অাসামি গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলার কথা/এম এম মামুন/ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০