বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি o
রাজশাহীর বাঘায় চলতি বৌর মৌসুমে সময়সীমা বর্ধিত করার পরেও এ বছর খাদ্য গুদাম কর্তপক্ষ ধান সংগ্রহ করতে পারেনি। বাজারে ধান-চালের দাম বেশি পাওয়ায় গুদামে ধান দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক ।
তথ্য মতে, রাজশাহীর বাঘায় সরকারি ভাবে ন্যায্য মুলে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় চলতি বছরের ২০-মে। ঐদিন ৯৬ মে: টন ধান ক্রয়ের জন্য উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন এবং দু’টি পৌরসভা থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচিত করা হয়। তবে এ বছর বাজারে ধান এবং চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন পর্যন্ত একজন কৃষকও খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করেনি।
বাঘা খাদ্যগুদাম র্কমর্কতা আলী আশরাফ বলনে, করোনা সংকট সহ পারিপার্শিক বিভিন্ন নিতিবাচক পরবিশের কারণে এ বছর মেলার মালিক-সহ কতিপয় ব্যবসায়ীরা কৃষকদের উৎপাদতি ধান কিনে গুদাম জাত রেখেছেন। যে কারণে সময়সীমা বর্ধিত করার পরও এ বছর ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলার আমোদপুর গ্রামের কৃষক আলী আকবর বলেন, এ বছর খোলা বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়ে ধান বিক্রি করে দিয়েছি। সরকার ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ধান কিনলেও ধান শুকানো, ফ্যানিং-সহ বিভিন্ন অজুহাত আমাদের হয়রানী করে থাকেন। এ জন্য শুধু আমি নয়, আমার মতো প্রায় সকল কৃষকই এবার বাড়ীতে বসে কিংবা বাজারে এসে ব্যবসায়ীদের নিকট ধান বিক্রী করে দিয়েছেন।
এদিকে ধান ক্রয় না হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বাঘা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শামসুনাহার বলেন, বিগত সময়ে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধান বাজারে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় মুলত: সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর উদ্দেশ্য সরকারি গুদামে খাদ্য মজুদ রাখা। এ দিক থেকে এবার ব্যবসায়ী ও মেলার মালিকরা সিন্ডিকেট করায় সরকারের লক্ষ অর্জিত হয়নি।
বাংলার কথা/নুরুজ্জামান/ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০

