নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা (রাজশাহী) ০
রাজশাহীর বাঘায় পলান সরকারের পুরুষাঙ্গ কেটে হাসপাতালে নেয়ার পর সেখান থেকে পালিয়েছে স্ত্রী খোদেজা বেগম। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর শান্তির মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পলানকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাথে নিয়ে যান স্ত্রী খোদেজা বেগম। সেখানে রক্তক্ষরণ দেখে ভ্যানের ভাড়া দেয়ার কথা বলে সটকে পড়ে তিনি।
খবর পেয়ে পলান সরকারের (৬০) লোকজন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মান্নান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে পলান সরকারের স্ত্রী এমন কান্ড ঘটিয়েছেন। পলান সরকার নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। খোদেজাকে (৩২) সাথে বিয়ে করে তিনি মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরাপুর গ্রামে থাকতেন।
আহত পলান সরকার জানান, বাঘার হরিরামপুর গ্রামের ফয়েন উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা বেগমের সঙ্গে ৫ মাস আগে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তার আরো এক স্ত্রী রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন। শুক্রবার ভোর রাতে প্রথম স্ত্রীর কাছে যাওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে খোদেজার স্বামী আবারও ঘুমোতে যান। এই সুযোগে স্ত্রী খোদেজা বেগম স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন।
এতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পলান সরকারকে প্রথমে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান স্ত্রী খোদেজা ও পাশের বাড়ির মনোয়ারা নামের এক নারি। সেখান থেকে পালিয়ে যান খোদেজা।
চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৌসুমী রহমান জানান, পলানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ববস্থা নেয়া হবে ।
বাংলার কথা/নুরুজ্জামান/জানুয়ারি ২৩, ২০২১