নিজস্ব প্রতিনিধি , রাজশাহী :
রাজশাহী বাঘায় নিখোঁজের তিনদিন পরে একটি আম বাগান থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির হোসেনের (১৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মনিগ্রাম গ্রামীণ ব্যাংকের পেছনে তুলসিপুওে এক আম বাগানের নালা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাব্বির হোসেন উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও হায়দার আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির হোসেন গত রোববার (৩০ অক্টোবর) স্কুল ছুটির পর বিকাল ৪টার দিকে বাবার ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু তার পর আর বাড়ি ফিরেনি সে। এর পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওইদিনই সাব্বিরের চাচা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঘা মডেল থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আমবাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই অবস্থায় গত সোমবার (৩১ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের আটঘরিয়া এলাকার চারঘাট ঈশ্বরর্দী সড়কের পাশে একটি আমবাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাটারিবিহীন ভ্যানটি পাওয়া যায়।
সাব্বির হোসেনের চাচা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। কোনো কোনো সময় স্কুল ছুটির পর ভাতিজা আশপাশে ওই ভ্যানে ভাড়া মারে। সেই সেই টাকা তার বাবাকে দিত। সেই ভ্যান চালানো কাল হলো তার।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন সাব্বির রোববার স্কুল ছুটির পর বিকাল ৪টার দিকে বাবার ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে রাত সাড়ে ১১টায় সাব্বিরের চাচা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঘা থানা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আগেই জিডি করা ছিল। নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে সুরতহাল প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ব্যাটারি ছিন্তাইয়ের উদ্দেশ্যেই ছিন্তাইকারীরা সাব্বিরকে হত্যা করে লাশ আমবাগানের নালার মধ্যে ফেলে রেখেছিল।