নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা (রাজশাহী) o
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও অপর দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী গণসংযোগ চালিয়ে আসছেন অনেক আগে থেকেই। দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।
আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুই বিদ্রোহীর কেউই উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপস্থিত হননি। ফলে কাজে আসেনি সভার সফলতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন দুপুরে মোজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজের হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে একক প্রার্থী সিলেকশানের বিষয় নিয়ে বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় দলীয় প্রার্থী ও আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান শহীদ উপস্থিত হলেও অপর দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী ও তরুণ ছাত্রলীগ নেতা রিবন আহাম্মেদ বাপ্পী উপস্থিত হননি। এমনকি তারা বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাদের প্রার্থীতাও প্রত্যাহার করেননি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের-সহ সভাপতি আজিজুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানা তিলু , সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান ফফিক, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা ও আড়ানী পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানসহ আড়ানী পৌর অওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সভায় আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, কে বিদ্রোহী হলো, আর কে না হলো সেটি দেখার অবকাশ নেই। প্রধানমন্ত্রী যার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন, আমরা সবাই তার পক্ষে ভোট করবো এবং নৌকাকে বিজয়ী করবো।
বর্ধিত সভা শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল সাংবাদিকদের জানান, আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সকল ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বর্ধিতসভা করা হয়েছে। তারা একই দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে ব্যার্থ হওয়ার কারণে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বক্তৃতা করে উপজেলাসহ আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সকল নেতাদের ভোট করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পৃথক পৃথকভাবে দুই বিদ্রোহী প্রার্থীকে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করেছেন। কিন্ত তারা কথা রাখেননি। তাদের বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মজিবুল আলম জানান, মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে কোনো প্রার্থীই তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৮৪। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৮৭৮ ও নারী ভোটার ৭ হাজার ১০৬ জন। পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি।
বাংলার কথা/নুরুজ্জামান/ডিসেম্বর ২৯, ২০২০