শনিবার , ৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ৮ই চৈত্র, ১৪২৯
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খুলনা বিভাগ
  4. খেলাধুলা
  5. চট্টগ্রাম বিভাগ
  6. জাতীয়
  7. ঢাকা বিভাগ
  8. প্রচ্ছদ
  9. ফিচার
  10. বরিশাল বিভাগ
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. ময়মনসিংহ বিভাগ
  14. রংপুর বিভাগ
  15. রাজনীতি

পদ্মা নদীকে বাঁচালে বাঁচবে রাজশাহী : বাপা

প্রতিবেদক
BanglarKotha-বাংলারকথা
জানুয়ারি ৭, ২০২৩ ১২:১৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

পরিবেশ আন্দোলন আরো জোরদারের আহ্বান জানানোর মধ্যে দিয়ে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন। ‘পদ্মা নদীকে বাঁচালে বাঁচবে রাজশাহী, পরিবেশে যোদ্ধা যদি আপনি হন, প্লাস্টিক করুন প্রত্যাখান’ এই প্রতিপাাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তারা পরিবেশ বাঁচাতে নদী রক্ষা ও প্রকৃতির প্রতি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, উন্নয়ন হতে হবে তা পরিবেশ ধ্বংস করে নয়। পরিবেশ ও প্রকৃতিকে বাঁচিয়েই উন্নয়ন তরান্বিত করতে হবে।

শনিবার বেলা ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনস কমক্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার রাজশাহী জেলা সভপতি মো. জামাত খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার। সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার বাপা প্রতিনিধি ও পরিবেশবীদরা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, জলবায়ূূ পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিবেশ রক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সম্মেলনের শুরুতে প্রধান অতিথি রাবি ভিসি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলন কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এতে মো. জামাত খানকে সভাপতি ও ড. হেমায়েতুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮০ সদস্যের বাপা রাজশাহী জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আপনারা যারা নদী ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। আপনাদের অনেকে এই কাজ করতে গিয়ে জীবন বিপন্ন করতে হয়েছে। সত্য কথা বলতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হবার অবস্থা তৈরী হয়। বঙ্গবন্ধুকে সত্যের জন্যই জীবন দিতে হয়েছিলো। কাজেই আপনারা কাজ চালিয়ে যান। বাপা যে কাজ করছে তার জন্য যে সহযোগিতা প্রয়োজন তার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় পাশে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ষাটের দশক থেকে পরিবেশ বিপর্যয় শুরু হয়েছিলো যেটা সত্তরের দশকেই বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন। এ জন্য তিনি ’৭৩ সালে ৮টি ড্রেজার এনে নদী খননের কাজ শুরু করেন। তারপর আর কোনো কাজ হয়নি। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবার পর আরও ১৪টি ড্রেজার এনে নদীগুলোর নাব্যতা ফেরানোর কাজ শুরু করেন।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অধিকর্তা অধ্যাপক মো. ইলিয়াস হোসেন, ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদ অধিকর্তা অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন সরদার, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্ততের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন, রাজশাহী বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদীউজ্জামান প্রমূখ। এছাড়া বাপার রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার কমিটির নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। বাপার সহসভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. হেমায়েতুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

 

সর্বশেষ - প্রচ্ছদ