জোহরুল ইসলাম জোহির, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) o
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সাথে বেঁধে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নাচোল থানা পুলিশ ঘটনার দিনই তিনজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নাচোল উপজেলার সদর ইউপির নারায়নপুর গ্রামের জমিরুদ্দিনের ছেলে ময়েজ উদ্দিন এবং মেয়ে রেহানা খাতুন ও জামাই জবেদ আলী তাদের পুরাতন বাড়িতে দোতলা ঘর নির্মাণের জন্য কাজ করছিলো।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে নাচোল সদর ইউনিয়নে জেলা প্রশাসক দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছিলেন। সেই কম্বল আনতে কাজ বাদ দিয়ে ময়েজ উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদে চলে যায়।
এই সুযোগে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে দুপুরে নারায়নপুর গ্রামের আনছারুল, তাসেম আলীর ছেলে শামীম, আব্দুল জব্বারের ছেলে বুলবুল দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, কাতা, লাঠি-সোঠা নিয়ে রেহানার বাড়িতে প্রবেশ করে। আনছারুল ইসলামের নির্দেশে ফিরোজা খাতুন, সালেমা বেগম, সামিনা বেগম, সেলিনা বেগম ও রেহানা খাতুনকে মারধর শুরু করে তারা।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে ময়েজ উদ্দিন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়িতে এসে অনুপ্রবেশকারীদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললে আনছারুল, শামীম, বুলবুল, আজমল, সাগর আলী , জব্বার সহ আরো কয়েকজন ময়েজ উদ্দিন ও জবেদ আলীকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে সিনেমার স্টাইলে নির্মম মারধর করে অজ্ঞান করে ফেলে।
পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আহতদের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং নাচোল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। সেদিনই বিকালে নাচোল থানা পুলিশ আনছারুল, শামীম ও বুলবুলকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার রাতেই জমিরুদ্দিনের ছেলে সাদিকুল বাদি হয়ে নাচোল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় ঘটনার দিনই নাচোল থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। বাকি আসামীদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলার কথা/জানুয়ারি ১৬, ২০২১