নিজস্ব প্রতিবেদক (নওগাঁ) o
নওগাঁর মান্দা উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। আর এই নদীর উপরে উপজেলা সংলগ্ন প্রসাদপুর খেয়া ঘাটে একটি মাত্র স্থায়ী ব্রীজ না থাকায় গ্রামের মানুষদের উপজেলায় আসতে দুর্ভোগ পােহাতে হয় বছরজুড়ে।
উপজেলা সদরের সঙ্গে যােগাযােগের জন্য প্রসাদপুর খেয়া ঘাটে স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের তবে বারবার মাপজোক হলেও কবে নাগাদ ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে প্রতি বছর খেয়া ঘাট মালিকদের নিজ উদ্যোগে শুকনাে মৌসুমে তৈরি হয় নড়বড়ে বাঁশ-কাঠের সেতু যা ভারী যানবাহন চলাচলে অক্ষম।
এই সেতুটি থাকে বর্ষা মৌসুম অর্থাৎ নদী ভরা পর্যন্ত। শুকনো মৌসুমে হেঁটে, মােটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নিয়ে পারাপারের কিছুটা সুবিধা হলেও বর্ষার ভরা মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় দুই পারের মানুষসহ ছােটছােট শিক্ষার্থীদের নদী ভরা মৌসুমে নৌকা আর শুকনাে মৌসুমে বাঁশ-কাঠের সেতুই পারাপারের একমাত্র ভরসা।
গ্রামবাসীদের দাবি প্রসাদপুর খেয়া ঘাটে দূত স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণের। যাতে বর্ষায় ভরা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে আর পারাপার হতে না হয়,চায় নিরাপদ পারাপার ব্যবস্থা নদীর ভরা মৌসুমে বাচ্চাদের ঝুঁকি নিয়েই স্কুলে পাঠাতে হয় এতে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা।
নদীর অপর পাড়ে বাড়ির একজন অভিভাবক বাচ্চু জানান, নদীর ভরা মৌসুমে যদি জীবনের কুকি নিয়ে পারাপার না হয় বাচ্চারা তাহলে ৬-৭ কি:মি ঘুরে উপজেলায় যেতে হবে। কসব ইউনিয়ন থেকে কাজের জন্য উপজেলায় আসা গোলাম মােস্তফা বলেন, স্থায়ী ব্রীজ না থাকায় উপজেলায় আসতে আমাদের অনেক সমস্যা, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে খুব সমস্যায় হয়। এই ব্রীজটি হলে উপজেলা সদরের সঙ্গে সহজেই যােগাযােগ করতে পারবে কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ।
প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সােহেল রানা বলেন, না থাকায় রাতের বেলা সঠিক সময়ের মধ্যে রােগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারিনা। বিগতদিনে অনেক সময় পারাপারের দেরির কারণে রােগী মারাও গেছেন। স্থায়ী ব্রীজ হলে দূর হবে নৌকা দিয়ে পারাপারের ভূগান্তি আর এর সুফল পাবে নদীর দুই পাড়ের মানুষ দুই পাড়েই গড়ে উঠবে আরাে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বাড়বে কর্মসংস্থান।
প্রসাদপুর খেয়া ঘাটে স্থায়ী ব্রীজের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মাের্শেদুল হাসান বলেন, ব্রীজটি নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট হয়ে গেছে। কাজটি ত্রুটিমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রকল্প পরিচালক স্থান পরিদর্শন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন নিয়ে গেছে, আশা করি এই অর্থ বছরের মধ্যেই সার্বিক কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে।
বাংলার কথা/সাজ্জাদুল তুহিন/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১