তানোর প্রতিবেদক o
তানোরে এ্যাসোসিয়েশন ফর কমিনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)’র আয়োজনে ও দ্যা কার্টার সেন্টারের সহযোগিতায় বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ইউএসএআইডি’র অর্থায়ণে তানোর উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পটির মাধ্যমে নারীদের তথ্য সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা তৈরি করে যাতে নারীরা ন্যায় বিচার পায় এবং নারী অধিকার নিশ্চিত হয়। দলিত সম্প্রদায় ও প্রান্তিক নারীদের জ্ঞানবৃদ্ধি, তথ্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে, সরকার, স্থানীয় সংস্থা এবং কমিউনিটির নেতাদের সাথে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্ম এলাকায় কাজ করতে চায় এসিডি।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের সাথে নিবিড় ভাবে কাজ করার মাধ্যমে তাদেরকে দরিদ্র, প্রান্তিক নারী ও বঞ্চিত জনগনের প্রতি আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও প্রতিবেদন শীল হতে সহায়তা করবে।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ, সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো, এসিডি’র পরিচালক প্রোগ্রাম, শারমিন সুবরিনা, দ্যা কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি তানিয়া পারভীন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তা, সরনজাই ও চান্দুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এসিডির পরিচালক পরিচালক প্রোগ্রাম, শারমিন সুবরিনা।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার সুশাসনের অংশ হিসেবে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ তৈরি করেছে। কিন্ত তথ্য অনুসন্ধানের অবস্থা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এটিএকেবারেই নগন্য। বিশেষ করে দারিদ্র, প্রান্তিক নারী ও দলিত সম্প্রদায়ের লোকেরা তথ্য অনুসন্ধানের পদ্ধতি কি সে সম্পর্কে জানেনা এমনকি এই আইন সম্পর্কে কোনো ধারনা নেই।
এছাড়া সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের তথ্য প্রদানের মনোভাব, আইন প্রতিপালনের অবস্থা এখনো পুরোপুরি জনবান্ধব হয়ে উঠেনি এবং তথ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। নারীরাও এই আইন মোতাবেক তথ্য সংগ্রহ করতে অণীহা প্রকাশ করে এবং নীরবতার সংস্কৃতির মধ্যে এখনো বেশিরভাগ নারী আবদ্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতি ও পুরুষ তান্ত্রিকতার প্রভাবে এখনো নারীরা জেন্ডার ভিত্তিক বৈষম্য, মতামত প্রদানের স্বাধীনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশ গ্রহন, সম্পদের উপর অধিকার, ভোগের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রস্তাবিত কর্ম এলাকায় দরিদ্রতার হার বেশি হওয়ায় এবং সামাজিক বিধি-নিষেধ সমুহ প্রান্তিক নারীদের অধিকার নিশ্চিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এই প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনার জন্যই মূলত এসিডি ও দ্যা কার্টার সেন্টার কাজ করছে।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ বলেন, এটি নি:সন্দেহে ভালো প্রকল্প, তবে প্রকল্পের জন্য স্থান নির্বাচন ও বিভিন্ন কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে বাস্তবায়নে আমরা যেন এসডিজি’র অভীষ্টকেসামনে রেখে কাজ করি। সেইদিক থেকে বিবেচনা করলে প্রকল্পটি এসডিজি’র ৫ সংঅভীষ্টকে সহায়তা করে। আমি অনুষ্ঠানের আযোজকদের ধন্যবাদ জানাই, প্রকল্পের অবহিতকরণ সভার মাধ্যমে সকলকে প্রকল্প সম্পর্কে জানানোর জন্য।
প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন মোস্তফা কামাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোসা. শাহানা শারমিন, প্রোগ্রাম অফিসার এসিডি, ফিল্ড প্রোগ্রামার কৃষ্ণা বিশ্বাষ প্রমূখ।
বাংলার কথা/সাইদ সাজু/ডিসেম্বর ২৫, ২০২০