নিউজ ডেস্ক :
টাঙ্গাইলে কয়েক দিন যাবত উত্তরের বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রা। আর তীব্র শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বাড়তি রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে শিশু রোগীদের জন্য আসন আছে ২৩টি। সেখানে শুক্রবার পর্যন্ত রোগী ভর্তি আছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে ৮০ ভাগ রোগী হচ্ছেন ঠাণ্ডায় আক্রান্ত। এছাড়াও ৫৬ জন পুরুষ রোগী ভর্তি আছেন।
শুক্রবার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে আসনের তুলনায় কয়েক গুন বেশি রোগী ভর্তি আছেন। বিছানা না পেয়ে ওয়ার্ডের মেঝে ও অনেক রোগী বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। এছাড়া নানা বয়সি মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর উপজেলার কাতুলী গ্রাম থেকে আসা আকতার হোসেন বলেন, আমার দেড় বছরের ছেলে কয়েক দিন যাবত ঠাণ্ডা আক্রান্ত। দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। বিছানা না পাওয়ায় ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। শীতে আমাদের ও রোগীর খুব কষ্ট হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন যাবত টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমলেও এখন শৈতপ্রবাহ শুরু হয়নি। শুক্রবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, দিন দিন টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমছে। আকাশ পরিষ্কার হলে তাপমাত্রা আরও কমবে। এছাড়া এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকবে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, তীব্র শীতের কারণে শিশুরা নিউমোনিয়া ও বয়স্করা অ্যাজমায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীও বাড়ছে প্রায় চারগুণ। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। আগামী রোববার থেকে ঠাণ্ডাজনিত আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড খোলা হবে।