হায়দার আলী, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) o
তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ইরি-বোরো আবাদের ধুম পড়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে কৃষক খড় ও ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেও আমন মৌসুমে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় এখানকার কৃষকরা অধিক পরিমাণ জমিতে ধান আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
প্রয়োজনীয় বীজতলা তৈরীর পর প্রচন্ড শীত ও হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে এ অঞ্চলের কৃষকরা কাক ডাকা ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত জমি চাষাবাদ ও ধান রোপণ ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার ভাজনপুরর গ্রামের কৃষক শ্রী দুলু দেব জানান, আমন মওসুমে খড় ও ধানের দাম ভাল পেয়েছি, তাই বেশী পরিমাণ জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ করছি। আশা করি আগামীতেও ধানের দাম ভাল পাবো। তবে ডিপে আগের মত পানি না উঠায় সেচের খরচ বেশী হচ্ছে।
উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের কৃষক শাখওয়াৎ জানান, জমিতে বোরো আবাদ করতে, নিড়ানী, সার, বীজ, কীটনাশকের সাথে সেচ দিতে অনেক টাকা লাগে। সরকার যদি কৃষকদের সেচ প্রণোদনা দিতো, তাহলে কৃষকরা উপকৃত হতো। একই মন্তব্য করেন গোদাগাড়ী পৌরসভার কৃষক আব্দুল মাতিন, আল মামুম, শামসুল হক।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন, ১ ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। সেই লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে কৃষি আবাদ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ কৃষি প্রণোদনা দিয়ে আসছে। ঘনকুয়াশা, শীতল হাওয়ার কারণে বোরো চাষে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ; স্বল্প সময়ে ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে।
বাংলার কথা/জানুয়ারি ২৫, ২০২১