মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট o
লোক দেখানো মাছের ঘাটতি মেটাতে বলা হলেও বাস্তবে তা কিন্তু নয়। পুরোপুরি পুকুর চুরি অবস্থা। লালমনিরহাট জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ১২টি খাল খনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে অবৈধ বোমা মেশিন ও স্কেভেটর (ভ্যাকু) মেশিন দিয়ে খাল খননের অভিযোগও রয়েছে।
এতে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর এসব অপকর্মে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন। অপরদিকে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়েছে কর্মহীন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলা মৎস্য অধিদপ্তর অর্থায়নে লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় এক কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার খাল খনন প্রকল্পের নামে চলছে লুটপাটের মহোৎসব। এতে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, মুখরোচক গল্প সাজিয়ে প্রকল্পের টাকা লুট করা হচ্ছে। এতে করে জেলায় কৃষি কাজে সেচ সুবিধা ও জেলার মাছের ঘাটতি মিটিয়ে মৎস্য উৎপাদন বাড়বে বলে যে ধারণা দেয়া হয়েছে, তা আসলেই গোজামিল দেয়া হচ্ছে।
ফলে লালমনিরহাট জেলা মৎস্য অধিদফতরের অর্থায়নে জেলার ৫টি উপজেলায় ভরাট খাল পুনরায় খননের উদ্যোগ ব্যাহত হচ্ছে। এক কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২টি খাল পুনরায় খনন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, আদিতমারী উপজেলায় ১৮ লাখ, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৭ লাখ, হাতীবান্ধা উপজেলায় ২৯ লাখ, পাটগ্রাম উপজেলায় ১০ লাখ টাকার খননের নামে গোজামিল দিয়ে কাজ শেষ করার পায়তারা করছে সংশ্লিষ্টরা। জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষমতাসীন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে। এ অনিয়মের মূল হোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নেয়ার দবি উঠেছে।
বাংলার কথা/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০

