নিউজ ডেস্ক :
১৭ বছর কবিরাজের ছদ্মবেশে পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলোনা ২০০৫ সালে বাগেরহাটের চাঞ্চল্যকর মনু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হেমায়েত ওরফে জাহিদের।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
তিনি বলেন, ২০০৫ সালের অক্টোবর মাসে বাগেরহাট জেলার সদর এলাকায় মনু বেগম নামের এক নারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট থানা পুলিশ। উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হেমায়েতসহ পাঁচজনকে আসামি করে ভুক্তভোগীর বোন বাদী হয়ে বাগেরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে মামলার অন্যতম আসামি হেমায়েত ওরফে জাহিদ কবিরাজ পলাতক থাকে।
পরবর্তীতে মামলাটির তদন্ত শেষে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ২০০৯ সালের জুন মাসে বিজ্ঞ আদালত আসামি হেমায়েত কে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী পরিচালনা করে গত বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বছিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হেমায়েত পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সামসুল হক কবিরাজের ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের আংটি- ১২৯টি, বক্স- ১টি, শঙ্খ- ৩টি, আলাদিনের চেরাগ- ১টি, ক্রেস্ট- ২টি, কবিরাজি সংক্রান্ত বই ১৫টি, পিতলের পাঞ্জা- ১টি ও কবিরাজি সংক্রান্ত অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মনু হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।