সোমবার , ১৭ অক্টোবর ২০২২ | ১৪ই চৈত্র, ১৪২৯
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খুলনা বিভাগ
  4. খেলাধুলা
  5. চট্টগ্রাম বিভাগ
  6. জাতীয়
  7. ঢাকা বিভাগ
  8. প্রচ্ছদ
  9. ফিচার
  10. বরিশাল বিভাগ
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. ময়মনসিংহ বিভাগ
  14. রংপুর বিভাগ
  15. রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় ফকির লালন শাহের তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক স্মরণোৎসব শুরু

প্রতিবেদক
BanglarKotha-বাংলারকথা
অক্টোবর ১৭, ২০২২ ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিতিদেক, কুষ্টিয়া :

মনুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের এই আধ্যাত্মিক বাণীর শ্লোগানে ১৩২তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ীতে আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক লালন স্মরণোৎসব।

সোমবার সন্ধ্যায় অওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এবারও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে। প্রতিদিনই আঘড়াবাড়ীর মূলমঞ্চে আলোচনা সভার পাশাপাশি একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করবেন।

প্রতিবারের মতো এবারও আধ্যাত্মিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও তার দর্শন পাওয়াসহ অচেনাকে চেনা, জ্ঞান আহরণ, আত্মার শুদ্ধি ও মুক্তির লক্ষে দেশ-বিদেশের হাজারো লালন অনুসারী, ভক্ত, অনুরাগী আর দর্শনার্থীরা আখড়াবাড়িতে এসে জড়ো হয়েছেন। অন্যদিকে, আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে বসেছে বিশাল লালন মেলা।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এই উৎসবকে ঘিরে আখড়াবাড়ীতে লাখো মানুষের সমাগম হয়। তাই, উৎসবকে নির্বিঘেœ করতে সিসি টিভি, ওয়াচ টাওয়ারসহ কয়েকস্তরের নিñদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সবাই খুব সুন্দরভাবে তিনদিনের এই লালন উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।
আজ থেকে শুরু হওয়া লালন উৎসব শেষ হবে আগামী ১৯ অক্টোবর রাতে।

জানা যায়, কুষ্টিয়া শহরের কোল ঘেঁষে কুমারখালী উপজেলার কালীগঙ্গা নদী। এ নদীর তীরেই ছেঁউড়িয়ার লালন সমাধি। বাংলা ১২৯৭’র পয়লা কার্তিক ও ইংরেজী ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ সালে এখানেই লালন শাহ’র শেষ শয্যা রচিত হয়। এরপর থেকে ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাতিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর এ উৎসব আয়োজন করে আসছে লালনের অনুসারীরা। এর পর থেকে এ এলাকায় তার স্মরণোৎসব পালিত হয়ে আসছে। লালন গবেষকদের মতে, বাউল সাধক ফকির লালন শাহর জীবদ্দশায় দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে পালন করা হতো দোল উৎসব। আর দোলপূর্ণিমাকে ঘিরেই বসতো সাধু সংঘ। লালনের সেই স্মৃতির ধারাবাহিকতায় লালন একাডেমীও প্রতিবছর এ উৎসবটিকে লালন স্মরণোৎসব হিসাবে পালন করে আসছে। তবে লালন অনুসারীরা দিনটিকে ‘দোলপূর্ণিমা’ উৎসব হিসাবেই পালন করে থাকেন। সাধুদের মতে, লালন অনুসারীরা দোলপূর্ণিমার এ রাতটির জন্য সারা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। সাঁইজির রীতি অনুসারে দোলপূর্ণিমার রাতের বিকেলে অধিবাসের মধ্য দিয়ে ২৪ ঘণ্টার দোলসঙ্গ শুরু হয়।

সর্বশেষ - প্রচ্ছদ