নিউজ ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে কারাগারে যান রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। এর পর তিনি বরখাস্তও হন। এক বছর কারাগারে থাকার পর মঙ্গলবার জামিনে মুক্তিপান তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে বের হন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি চলে যান নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
এর মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুই মামলায় তার জামিন দেন।
সন্ধ্যায় তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাগার ফটক থেকে তাকে মোটরসাইকেল শোডাউন করে নিয়ে যান সমর্থকরা। তারা আব্বাসের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, আব্বাস আলীর আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহিদী জামিনের আবেদন করেছিলেন। আসামি আব্বাস আলীর উপস্থিতিতেই জামিন শুনানি হয়। পরে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি মামলার মধ্যে একটির বাদী রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল মমিন। গত বছরের নভেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির অডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি করেন তিনি।
অপর মামলার বাদী কাটাখালী পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জনি ইসলাম। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে কাটাখালী থানায় তিনি মামলা করেন।
আব্বাস গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন তিনি। এ তিনটি মামলাই জামিন পেয়েছেন আব্বাস।
কাটাখালীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আপত্তিকর কথা বলার অডিও ছড়িয়ে পড়ে গত বছরের নভেম্বরে। একটি ঘরোয়া বৈঠকে আলাপচারিতার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করেন। ওই অডিও ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আব্বাস আলী আত্মগোপন করেন।
পরে ঢাকা থেকে গত ১ ডিসেম্বর তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রথমে সাময়িক এবং পরে স্থায়ীভাবে মেয়রের পদ থেকে আব্বাস আলীকে বরখাস্ত করে। আপত্তিকর মন্তব্যের সূত্র ধরে ২৫ নভেম্বর তাকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ এবং ২৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।