নিজস্ব প্রতিবেদক ০
রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার নির্বাচনে ভোট গনণা শেষে ইভিএম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের বিরুদ্ধে কাটাখালী থানায় মামলা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া ইভিএম মেশিনটি সোমবার রাতেই উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাটাখালী পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আট নম্বর ওয়ার্ডের চর শ্যামপুর এলাকার ইউসুফ মেমোরিয়াল কেজি স্কুলের ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে নারী বুথের একটি ইভিএম ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দিলে তাদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান হামলাকারীরা। তাদের ইটের আঘাতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে রাত সাড়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ পাশের আজিজুলের মোড় এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ইভিএম উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অভিষেক বসাক বাদি হয়ে কাটাখালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বাীকার করে জানান, মামলায় ১৭ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০-২০০ জনকে। ওসি বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল লতিফের সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছোড়ে। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় একটি ইভিএম ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে আজিজুলের মোড় এলাকার রাস্তার পাশ থেকে সেটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কাটাখালী পৌরসভার সহকারি রিটার্নিং অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, আট নম্বর ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীক নিয়ে আব্দুল মজিদ ৫৯৩ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল লতিফ উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬৮ ভোট। ফলাফল ঘোষণার পর পরজিত প্রার্থীর সমর্থকরা এ হামলা চালায়।
বাংলার কথা/ডিসেম্বর ২৯, ২০২০