নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী :
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আমন ধানের ক্ষেতে কারেন্ট বা নেকবøাস্টের পোকার আক্রমণ ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেতে ছড়িয়ে পড়েছে কারেন্ট বা নেকবøাস্টের পোকা। যা এলাকার কৃষকদের কাছে কারেন্ট পোকা নামে পরিচিত। উপজেলার অনেক কৃষকের জমিতে পোকার আক্রমণে প্রতিটি ধানের শীষ ঠিকই আছে কিন্তু কোন শীষেই ধানের খোসার মধ্যে চাল নেই। এতে চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে পোকা দমনে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কারেন্ট পোকার আক্রমণ ঘটেনি।
কৃষি অফিস জানায়, চলতি আমন মৌসুমে পুঠিয়া উপজেলার ৭ হাজার ৯৮০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। এবার ৭৫, ৮৭ এবং ৯৪ জাতের ধানের চাষ বেশি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের নলপুকুরিয়া মাঠসহ পাশের এলাকার প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে কারেন্ট পোকা ও নেকবøাস্টের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক দিয়েও কারেন্ট পকার আক্রমণ বন্ধ হচ্ছে না। এতে ধান নষ্ট হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কৃষকদের মাঝে। শিগগির ব্যবস্থা না নিলে লোকসান গুণতে হবে চাষিদের।
কৃষকরা জানান, প্রতিটি ধানের শীষ ঠিকই আছে কিন্তু কোন শীষেই ধানের খোসার মধ্যে চাল নেই। শীষের গোঁড়ায় কালো-সাদা দাগ আছে। মূলত এসব ধানের প্রতিটি থোকায় ধান নেই, আছে চিটা।
উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের কৃষক হেমায়েত জানান, এ মাঠে কারেন্ট পোকার ব্যাপক আক্রমণ। কিন্তু দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার দেখা মেলে না। আমরাও তাকে চিনি না।
পুঠিয়ার ভালুকগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকবীর হাসান বলেন, শাহিনুর নামের একজন কৃষি কর্মকর্তা নতুন এসেছে। তিনি এলাকার সবকিছু গুছিয়ে না নিতেই কারেন্ট পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, ওই মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণ ঘটেনি। তবে বিএলবি রোগের আক্রমণ হতে পারে।