বুধবার , ১১ জানুয়ারি ২০২৩ | ১১ই চৈত্র, ১৪২৯
  1. অর্থনীতি
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খুলনা বিভাগ
  4. খেলাধুলা
  5. চট্টগ্রাম বিভাগ
  6. জাতীয়
  7. ঢাকা বিভাগ
  8. প্রচ্ছদ
  9. ফিচার
  10. বরিশাল বিভাগ
  11. বিনোদন
  12. মতামত
  13. ময়মনসিংহ বিভাগ
  14. রংপুর বিভাগ
  15. রাজনীতি

আওয়ামী লীগ যা বলে তা করেনা : মঈন খান

প্রতিবেদক
BanglarKotha-বাংলারকথা
জানুয়ারি ১১, ২০২৩ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি :

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ যা বলে তা না করে উল্লোটা করে। তার বহু প্রমান তারা সর্বদা দিয়ে থাকে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সর্বদা মিথ্যাচার করে। জনগণকে বিভ্রান্ত করে। জনগণকে তারা ধোকা দিচ্ছে। মূখে বলে গণতন্ত্র কিন্তু অন্তরে ও কাজে কর্মে তাদের একনায়কতন্ত। বুধবার দিনব্যাপি বিএনপি রাজশাহীর ঐতিহাসিক ভবনমোহন পার্কে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে গণ অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এই কথা গুলো বলেন।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নাকি আওয়ামী লীগের প্রায় দশ লক্ষ লোক মারা যাবে। এই ধরনের মিথ্যাচার বিদেশী কুটনীতিকদের নিকট মিত্যা অভিযোগ করেন। আসলে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষকে ভয় পায়। কারণ এই সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষকে না খাইয়ে রাখে। দেশে দূর্ভিক্ষ শুরু হয়। বর্তমানেও সেই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সকল প্রকারা জ¦ালানী তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করার প্রতিটি পনেল্য মূল্য আকাশচুম্মি হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করায় অর্থনৈতিকভাবে দেশ পঙ্গু হয়ে পড়েছে। বর্তমানে দেশ একটি তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, এই সরকার ১৯৯৬ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলো। সে সময়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাস্তায় সাপের মত করে পিটিয়ে হথ্যা করেছিলো। কিন্তু সে সময়েও বাংলাদেশেল সংবিধানে তত্ত্বাবধায় সরকারের কোন অস্তিত্ব ছিলোনা। কিন্তু বিএনপি জনগণেল কথা ভেবে সংবিধান পরিবর্তন করে এই সরকার প্রথা চালু করেছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। এখন বলছে এটা সংবিধানে নাই। তিনি আরো বলেণ, বাংলাদেশ নামে একটি দেশ হবে এটাও পাকিস্তানী সংবিধানে লিখা ছিলোনা। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী আপামর জনগণনের আন্দোলনের মুখে তারা সেদিন পিছু হটেছিলো। ফলে বাংলাদেশ নামে একটি দেশে সৃষ্টি হয়েছিলো।

মঈন খান বলেন, বিএনপি যা বলে তাই করে। এই কখনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেনা । বিএনপি একটি মার্জিত ও সুসংগঠিত একটি দল। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া স্বৈারচার এরশাদ সরকারকে আন্দোলন করে হটিয়ে ছিলো বলে শেখ হাসিনা আজকে প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। ফখরুল- মঈনউদ্দীন আমলে বেগশ খালেদা জিয়া মেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে ছিলোনা বলে শেখ হাসিনা আজকে প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। এজন্য বেগশ খালেদা জিয়াকে এই সরকার প্রধানের বার বার ধন্যবাদ প্রদান ও আজীবন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকা প্রয়োজন বকলে জানান তিনি। জনগণ ও দেশেল স্বার্থে এখনই পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন ও লক্ষ লক্ষ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানান তিনি।

গণতন্ত্র হরণকারী ফ্যাস্টি সরকারের পদত্যাগ, বর্তমান অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্যাচনের দাবী সহ ১০ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদেও মুক্তির দাবীতে এই গণ অবস্থানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। সমন্বয়ক বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্ব নাথ সরকার ও মহানগর বিএনপি’র সদস্য সািচব মামুনুর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা উপদেষ্টা শাজহান মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ লতিফ খান।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহা খান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহিন শওকত ও এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম খান টিপু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পনির্বাসন বিষয়ক সহ সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহীা কমিটির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আফিয়া আশরাফী পাপিয়া ও সাবেক এমপি জাহান পান্না।

এছাড়াও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, রোকনুজ্জামান আলম, আলী হোসেন, গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুল আলম রায়হান, কামরুজাজামান হেনা, তোফায়েল হোসেন রাজু, জাকিরুল ইসলাম বিকুল, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদিন শিবলী, শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, বর্তমান সদস্য মাহফুজুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আল-আমিন সরকার টিটো, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর তাঁতী দলের আহ্বায়ক আরিফুল শেখ বনি ও জেলা তাঁতী দলের আহবায়ক কুতুব উদ্দিন বাদশা।

এছাড়াও মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন ও মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকিসহ রাজশাহী বিভাগের মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - প্রচ্ছদ